যখন এশিয়ান সেশন শেষ হতে শুরু হয়, তখনি ইউরপিয়ান সেশন শুরু হওয়ার সময় হয়ে যায়। ইউরপে অনেক গুলো আর্থিক কেন্দ্র থাকলেও, সবাই লন্দনের দিকেই নজর রাখে।
কৌশলগত অবস্থানের জন্য লন্ডনকে সব সময় বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
লন্ডনকে পৃথিবীর ফরেক্সের রাজধানী বলা হয়ে থাকে কারন হাজার হাজার ব্যাবশাই প্রত্যেক মিনিটে লেনদেন করে থাকে। ৩০% ফরেক্স ট্রেডিং লন্ডন সেশনে হয়ে থাকে।
লন্ডন সেশনে পিপ এর পরিবর্তনের একটি হিসাব নিচে দেয়া হলঃ

এই হিসাবটি একবারে সঠিক নয়। মার্কেটের তারল্যতার সাথে এর পরিবর্তন হয়ে থাকে।
নিচে ইউরোপ সেশনের কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়া হলঃ
১.যেহেতু লন্ডন সেশন আরও দুইটি সেশনের সাথে অভারলাপ করে এবং লন্ডন যেহেতু বাণিজ্যিক কেন্দ্রবিন্দু, সেহেতু ফরেক্স লেনদেনের একটি বড় অংশ এই সেশনে হয়ে থাকে। এই জন্য এই তারল্যতা অঙ্ক বেশি হয় এবং লেনদেনের খরচ অনেক কম হয়ে ।
২. এই সেশনে অনেক বেশি পরিমান লেনদেন হওয়ার জন্য এই সেশনের পিপ এর শচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যায়।
৩.বেশির ভাগ ট্রেনড লন্ডন সেশনে শুরু হয় এবং নিউইয়র্ক সেশন শুরু হয়া পর্যন্ত চলমান থাকে।
৫.পিপ এর পরিবর্তন সেশনের ঠিক মধ্যবর্তী সময়ে খুবই ধির গতিতে হয় কারন অনেক ট্রেডার ঐ সময় দুপরের খাবার খেতে যায় এবং তারা নিউইয়র্ক সেশন শুরু হওয়ার অপেক্ষা করে।
৬. ট্রেনড মাঝে মধ্যে লন্ডন সেশনের শেষের দিকে ঘুরে যেতে পারে, কারন এই সময় ইউরপিয়ান ট্রেডাররা তাদের লভ্যাংশ নিয়ে নেই।
এই সেশনের কোন মুদ্রা জোড়ে ট্রেড করা উচিত?
যেহেতু এই সেশনের প্রচুর লেনদেন হয়ে থাকে, সেহেতু এই সেশনে যেকোনো মুদ্রা জোড়ে ট্রেড করা যায়।
EUR/USD , GBP/USD, USD/JPY এবং USD/CHF এই মেজোর মুদ্রা জোড় গুলোতে ট্রেড করা ভাল এই সময়ে,কারন এগুলর spreads খুব কম থাকে।
কোন বাণিজ্যিক খবর বের হলে এই মুদ্রা জোড় গুলতেই খুব বেশি প্রভাব দেখা যায়।
এছাড়াও ইয়েন ক্রসেস এ ট্রেড করা যেতে পারে, কিন্তু এদের spreads অনেক বেশি হতে পারে।